নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া :
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা পেকুয়ার প্রধান প্রবেশ-বাহিরমুখে টইটং সীমান্ত ব্রীজ দিয়ে যানবাহনের অযাচিত আগমন ঠেকাচ্ছেন ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী।আজ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) সকাল থেকে গ্রামপুলিশ সদস্যদের সাথে নিয়ে টইটং সীমান্ত ব্রীজে দাঁড়িয়ে তিনি গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সড়কে চলাচল করা কোন গাড়িকে পেকুয়ায় প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না।
চেয়ারম্যানের এ উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পেকুয়া উপজেলায় প্রবেশের প্রধান পথ টইটং সীমান্ত ব্রীজ। সরকারি আদেশে সারাদেশে যান চলাচল বন্ধ থাকলেও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্ন বাহনে মানুষ চলাফেরা করছেন। একইভাবে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পেকুয়ায় আসা-যাওয়া অব্যাহত রেখেছেন অনেকেই। এতে পেকুয়ায়ও করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি দেখা দিয়েছে। তাই পেকুয়া উপজেলাকে লকডাউন ঘোষণা করে চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবী উঠছিল। এরই ধারাবাহিকতা চেয়ারম্যানের এ উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। সড়ক চলাচল সীমিত করা গেলে, পেকুয়া উপজেলায় করোনা ঝুঁকি কিছুটা কমবে।
এব্যাপারে টইটং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী চকরিয়া নিউজকে বলেন, রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানকে লকডাউনের আওতায় এনেছে সরকার। সেখানে চলাচলের উপর কঠোর বিধি আরোপ করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও সেসব এলাকা থেকে নানা কৌশলে বের হয়ে গ্রামাঞ্চলে ফিরছে মানুষ। তাদের এ আগমনে করোনা ঝুঁকি বাড়ছে। তাই জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত করতে পেকুয়া আগমনের ব্যাপারে একটু কঠোর হয়েছি আমরা। পেকুয়া প্রবেশের প্রধান পথে চলাচল করা গাড়ীগুলোকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সদোত্তর দিতে না পারলে তাঁদের ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
পাঠকের মতামত: